১. লরেন্স কোলবার্গ (Lawrance Cohlberg) পিঁয়াজের মতবাদ সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল থাকলেও তার নিজস্ব তত্ত প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি তাঁকে সম্পর্নভাবে সমর্থন করেন নি।
২. নিতি বোধ বলতে তিনি
ন্যায়বিচার বা ন্যায়পরায়নতকে বুঝিয়েছেন।
৩. বহিরাচরন ঐ আচরনের উদ্দেশ্য
এবং আচরনের আভ্যন্তরিন প্রভাব এই তিনটি বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই কোল্বার্গ তাঁর
নৈতিক বিকাশের তত্ত্ব প্রকাশ করেছেন।
৪. কোলবার্গ মানুষের তিনটি
শর্তমুলক উপাদানের কথা বলেছে।
i) জ্ঞানমূলক
বা প্রজ্ঞামূলক বিকাশ।
ii) জ্ঞানমূলক
বা প্রজ্ঞামূলক দ্বন্দ্ব।
iii) ভূমিকা গ্রহনের ক্ষমতা।
৫. তিনটি উপাদানের প্রয়োজনীয়তা
বোঝানোর জন্য নৈতিক বিকাশের তিনটি পর্যায়ের কথা বলেছেন।
i) প্রাক
প্রথাগত পর্যায় অর্থাৎ জ্ঞানমূলক উপাদেন অস্তিত্ব কাল দশ বছর বয়স পর্যন্ত।
ii) প্রথাগত
পর্যায় অর্থাৎ ) জ্ঞানমূলক
দ্বন্দ্বের উপাদেন অস্তিত্ব কাল প্রায় তেরো বছর বয়সকাল পর্যন্ত।
iii) উত্তর প্রথাগত পর্যায় তেরো বছর বয়সকালের
পরবর্তী কালকে বোঝানো হয়েছে।
৬. প্রাক প্রথাগত পর্যায় বা
প্রাক- সংস্কারনীতিগত পর্যায়ঃ- এর দুটি ভাগ যথা-
i) সামঞ্জস্যহীন নীতিবোধের স্তরঃ এই স্তরে
শিশুরা পুরস্কার ও শাস্তির ভিত্তি আচরণ বিচার করে।
ii) ব্যক্তিকেন্দ্রিক বোধ স্তরঃ চাহিদার
তারতম্যের জন্য এক শিশু সঙ্গে অন্য শিশুর সংঘাত দেখা যায়।
৭. প্রথাগত পর্যায় বা সংস্কার
প্রভাবিত পর্যায়ঃ-এর দুটি ভাগ যথা-
i) প্রত্যাশামূলক স্তরঃ শিশু গোষ্ঠী প্রত্যাশাগত
আচরন করে।
ii) সমাজ নিয়ন্ত্রিত নীতিবোধ স্তরঃ এই স্তরে
শিশুর নৈতিক আচরন সামাজিক নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হওয়ে থাকে।
৮. উত্তর প্রথাগত পর্যায় বা
সংস্কা্মুক্ত নীতিবোধঃ- পর্যায়ঃ-এর দুটি ভাগ যথা-
i) সামাজিক চুক্তিবদ্ধ নীতিবোধঃ শিশুরা
সামাজিক মূল্যবোধ গুলিকেই গ্রহন করে।
ii) সার্বজনীন নীতিবোধঃ এই স্তরে তারা
সামাজিক রীতিনীতি গুলিকে নিজস্ব যুক্তির দ্বারা গ্রহন করে নৈতিক আচারন সম্পাদন
করে।
৯. শিক্ষাগত তাৎপর্যঃ-
i) নৈতিক বিকাশে সহায়তা করার জন্য
শ্রেণীবিন্যাস বিষম প্রকৃতির হলে সুবিধা হয়।
ii) শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পারিক
আলচনার সুযোগ করে দেবেন- মানসিক দ্বন্দ অবসানের জন্য।
iii) শিক্ষার্থীদের নৈতিক বিকাশের জন্য
শিক্ষক বা শিক্ষিকা তাঁর নিজের কোন মতবাদ শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেবেন না বা
বাধ্য করবেন না।
iv) শিক্ষক তাঁর পাঠদানের বিষয়ে প্রদত্ত
বিষয়ের জ্ঞান বা বর্নিত অভিজ্ঞতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনাকে সবসময় সংযুক্ত
করার চেস্টা করবেন।
v) শিক্ষার্থীদের
নৈতিক বিকাশকে সহায়তা করতে হলে শিক্ষার কর্মসুচিকে অবশ্যই দীর্ঘ করতে হবে।
0 comments:
Post a Comment