Saturday 8 December 2018

কারক বিভক্তি ও অনুসর্গ ( WBTET এর জন্য প্রথম পত্র)




১। ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যস্থ বিশেষ্য কিংবা সর্বনামের যে সম্পর্ক বা  অম্বয় তাকে কারক বলে ।


২। কারক ছয় প্রকার – ক)কতৃকারক খ)কর্মকারক গ)করণকারক ঘ) নিমিত্তকারক ঙ) অপাদান কারক চ) অধিকরণ কারক
৩। বিভক্তিঃ বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুলির প্রান্তে যুক্ত হয়ে যা পরস্পরকে অম্বয় সম্বন্ধে যুক্ত করে পদে পরিণত করে তাকে বিভক্তি বলে।
৪। বাংলা ভাষায় বিভক্তি চিহ্ন মাত্র পাঁচটি । এ, কে, রে, তে, (এতে), র(এর)
৫। সম্বন্ধ পদের বিভক্তি হল র (এর)
৬। শূন্য বিভক্তিঃ বাক্যে ব্যবহৃত যে বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দটিকে পদে পরিণত করে অথচ নিজে অপ্রকাশিত থাকে তাকে শুন্য বিভক্তি বলে। শুন্য বিভিক্তি যোগে মূল শব্দটির কোন পরিবর্তনই হয় না।
৭। শূন্য বিভক্তি কে-অ-বিভক্তি বলা যায়।
৮। অনুসর্গঃ যে সকল অব্যয় বিশ্লেষ্যবা সর্বনাম পদের পরে পৃথক ভাবে অবস্থান করে শব্দ বিভক্তির কাজ করে তাকে অনুসর্গ বলে।
৯। আনুসর্গের আরও নামে আছে, যথা- পরসর্গ/ কর্ম প্রবচনীয়।
১০। ব্যতিক্রম- কবিতায় ছন্দের খাতিরে অনেকসময় অনুসর্গটি বিশেষ্য বা সর্বনামের পূর্বে বসে।
১১। যে বা যারা স্বয়ং ক্রিয়া সম্পাদন করে, বাক্যে ব্যবহৃত সেই পদকে কতৃকারক বলে। বাক্যের ক্রিয়াকে ‘কে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় সেটিই ঐ ক্রিয়ার কর্তা।
১২। কর্তৃকারক প্রধানত দশ প্রকার, যথা- ১। প্রযোজক কর্তা, ২। প্রযোজ্য কর্তা, ৩। অনুক্ত কর্তা, ৪। নিরেপেক্ষ কর্তা ৫। ব্যতিহার কর্তা, ৬। সহযোগী কর্তা, ৭।সমধাতুজ কর্তা ৮। সাধন কর্তা, ৯। উপবাক্যীয় কর্তা, ১০। কর্মকর্তৃবাচ্যের কর্তা।
১৩।মা শিশু কে চাঁদ দেখেন- মা প্রযোজক কর্তা।
১৪। মা শিশুকে চাঁদ দেখান – শিশুকে প্র্যযোজ্য কর্তা ।
১৫। তাকে টিকিট কিনতে হয়নি – অনুক্ত কর্তা ‘তাকে’ ।
১৬। সূর্য উঠলে পদ্ম ফোটে – সূর্য নিরেপেক্ষ কর্তা, অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তাকে ‘নিরেপেক্ষ কর্তা’ বলে।
১৭। রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় – ‘রাজায় রাজায়’- ব্যতিহার কর্তা।
১৮। এখানে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়। ‘সহযোগী কর্তা’
১৯। উৎসবে বাজনা বাজছে  - সমধাতুজ কর্তা
২০। ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে – সাধন কর্তা- ক্রিয়ার উপকরণে কর্তারূপে ব্যবহার করলে সাধন কর্তা হয়।
২১। তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ- উপব্যাপীয় কর্তা- সমাপিকা ক্রিয়াবিহিন বাক্যাংশ কর্তারূপে প্রযুক্ত হলে।
২২। প্রভাতের ফল বিকেলবেলায় বিকার হেলায়। কর্ম=কর্তৃবাচ্যের কর্তা।
২৩। কর্তৃকারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগঃ
ক)’শূন্য’ বিভক্তিঃ এই সুযোগে চোর ছুটে পালাল।
খ) ‘এ’ বিভক্তিঃ রতনে রতন চেনে।  
গ) ‘তে’ বিভক্তিঃ বুলবুলিতে ধান খেয়েছে।
ঘ) ‘য়’ বিভক্তিঃ ঘোড়ায় ঘাস খায়।
ঙ)‘রা’ (এরা) বিভক্তিঃ গ্রামের লোকেরা দল বেঁধে শহরে আসে।
চ) ‘এতে’ বিভক্তিঃ হাঁসেতে ডিম দেয়।
ছ) ‘এর’ বিভক্তিঃ বিকালের এখনই খাওয়া প্রয়োজন।
২৪। ‘এ’ বিভক্তি সকল কারকে ব্যবহৃত হয় বলে একে তির্যক  বিভক্তি বলে।
২৫। রানী ভবানী প্রতিদিন কারকে প্রভাতে ভান্ডার হইতে স্বহস্তে দীন্দুখীর জন্য ধনরত্ন দান করিতেন।

0 comments:

Post a Comment